ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে | Cost Of Divorce 2023

Rate this post

ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে এবং ডিভোর্স দিতে কি কি প্রয়োজন তা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন। বিবাহ একটি সুন্দর ও পবিত্র বন্ধন। বিবাহের মাধ্যমে দুটি পরিবার ও দুটি মনের মিলন হয়। তবে যদি সেই দুটি মানুষ একসাথে সারা জীবন না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তখন পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায়। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে। ডিভোর্স সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য আজ আমরা আপনাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানাবো।

ডিভোর্স নিয়ে অজানা কিছু তথ্য

সরকারি রেজিস্ট্রার করার মাধ্যমে যে ব্যক্তি বিয়ে করে থাকেন তারা তালাকের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাই আপনাদের অবশ্যই ডিভোর্স দিতে হলে কিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হবে। আপনি যদি আপনার স্ত্রী বা স্বামীকে ডিভোর্স দিতে চান তাহলে আদালত আপনাকে ৯০ দিনের সময় দিবে। এই ৯০ দিনের মধ্যে আপনাদের সমস্যা যদি কোনোভাবেই সমাধান না হয় তাহলে আপনি ৯০ দিনের ভিতরে স্বামী বা স্ত্রীকে তালাক দিয়ে একে অপর থেকে বিচ্ছেদ হতে পারবেন। ডিভোর্স দেওয়ার জন্য কিছু কাগজত্রেরও প্রয়োজন হয় যা অবশ্যই দম্পতির নিকট থাকা অতি জরুরি।

ডিভোর্স দিতে কি লাগে

ডিভোর্সের ক্ষেত্রে খুব বেশি কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না। তবে ডিভোর্সের ক্ষেত্রে বিবাহের যে কাগজ রয়েছে সেটা অবশ্যই দম্পতির প্রয়োজন পড়বে। তাছাড়া স্বামী স্ত্রীর এনআইডি কার্ড এর ফটোকপি এখানে অবশ্যই প্রয়োজন পড়বে।

ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে

ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে তা সাধারণত নির্ভর করে ডিভোর্স দেওয়ার জটিলতাও ডিভোর্স দিতে কত দিন সময় লাগবে তার উপরজিবি। নিচে ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে তা দেওয়া হলো-

১) স্বামী-স্ত্রী দুজনের মতামতের ভিত্তিতে এই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে থাকে, এবং দুজনের মতামত যদি এক থাকে তাহলে বিবাহ বিচ্ছদের সময় খরচটা অনেকটাই কম হয়।

২) আর যদি দম্পতি বিভিন্ন আসল কারণের  উপরে এই বিবাহ বিচ্ছেদ নিতে চায় এবং তাদের মধ্যে যে কোনো একজনের  মতামত যদি ভিন্ন হয়ে থাকে তাহলে সেই ডিভোর্স অথবা বিবাহ বিচ্ছেদ অনেকাংশেই খরচসাপেক্ষ হতে পারে।

৩) যদি কোনো দম্পতির কোন বাচ্চা না থাকে এবং যদি বড় বাচ্চা থেকে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে ডিভোর্স অথবা বিবাহ বিচ্ছেদ করতে গেলে দম্পতির অনেক টাকা খরচ হওয়ার সম্ভবনা থাকে। কারণ দম্পতির বাচ্চার ভবিষ্যৎতের কথা বিবেচনা থেকে শুরু করে তাকে বড় করা সবকিছুই নির্ভর করে এই খরচের টাকার উপর।

ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম ও আইন

বাংলাদেশ সরকার রাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিভিন্ন রকম নিয়ম ও আইন জারি করেছেন। যেসব আইন ও নিয়ম কানুন অনুসরণ করার মাধ্যমে দেশের নাগরিক স্বাধীন ভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারবে। ঠিক তেমনিভাবে বাংলাদেশে ডিভোর্স দেওয়ার ব্যাপারেও সরকার বেশ কিছু নিয়ম ও আইন জারি করেছেন। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনার যারা ডিভোর্স দিতে চান তারা ডিভোর্সের সঠিক নিয়ম পালন ও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক দ্বারা আইনগুলো জানতে পারবেন।

বিভিন্ন রকমের খরচঃ

একজন উকিল তিনি তার কাজের সময় ব্যয় করে আপনার সাথে ডিভোর্সের বিষয়ে আলোনা করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে উকিল ঘন্টা হিসাব করে এসকল বিবেচনা করে একটা চার্জ আপনার উপরে করতে পারেন।ডিভোর্সের সময় উকিল সামান্য কোনো বিষয় বা জিনিসের জন্য ঘন্টা হিসেবে কিছু টাকা চার্জ করে। কেননা অনেক সময় এই মামলাগুলো জটিল এবং অপ্রত্যাশিত হয়ে থাকে। যার ফ্লে দেখা যায় অনেক সময় স্বামী-স্ত্রী্র মতামত পরিবর্তন হয়েযায়।

খরচ এবং ভরণপোষণের উপর আপনার করণীয়ঃ

ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে
ডিভোর্স দিতে কত টাকা লাগে

আপনার ডিভোর্সেের ক্ষেত্রে অনেকসময় দেখা যায় আপনার খরচ অনেক বেশি হয়ে যায়। যার ফলে ভরণপোষণ ছাড়াও আরো অন্যান্য খরচ হিসাব করলে আপনার খরচ আপনার ধারণার চেয়ে বেশি হয়।তাছাড়া ভরণপোষণের কথা ভেবে যদি কোনো স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে ভালো এমাউন্টের টাকা দাবি করলে তা সেই স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে পেয়ে থাকেন। আর যদি দম্পতির কোনো বাচ্চা থাকে তাহলে একজন ডিভোর্সী মা সেই টাকা দিয়ে তার পড়াশোনার খরচ, তাকে মানুষ করা এবং তার ভবিষ্যত পরিকল্পনা করা ইত্যাদি অনায়াসেই করতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়ম

ডিভোর্স নিয়ে শেষ কথা

এসব নানা জটিল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ডিভোর্সের খরচ নির্ভর করে। তবে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে ডিভোর্সের ক্ষেত্রে রেজিস্টার করার প্রয়োজন রয়েছে। আর এর জন্য মাত্র ৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। এর বেশি খুব একটা খরচ হয় না। তবে রেজিস্টার বাদেও অন্যান্য যে কাজগুলো থাকে সেইসকল কাজগুলোর জন্য বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম খরচ হয়ে থাকে।

error: Content is protected !!
Scroll to Top